২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সেমিকন্ডাক্টর খাতে স্বনির্ভর হতে চায় আমেরিকা

সেমিকন্ডাক্টর খাতে স্বনির্ভর হতে চায় আমেরিকা -

যার ধারাবাহিকতায় প্রায় বছর দেড়েক চেষ্টার পর বহুল প্রত্যাশিত যুক্তরাষ্ট্রের চিপস অ্যাক্ট অবশেষে পাস হয়েছে। সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এতে চূড়ান্ত সই করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে অনুমোদনের পর বাইডেনের স্বাক্ষরে বিলটি আইনে পরিণত হয়। এর ফলে সেমিকন্ডাক্টর খাতে গবেষণা ও ভর্তুকির জন্য পাঁচ হাজার ২০০ কোটি ডলার ও অন্যান্য সুবিধা উন্মুক্ত হয়েছে। যদিও কাক্সিক্ষত আইন পাস হলেও রাতারাতি সেমিকন্ডাক্টর খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্বের আসনে দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ভবিষ্যৎ হচ্ছে ‘মেড ইন আমেরিকা’র। সেমিকন্ডাক্টর আবিষ্কারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং এ আইনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আসছে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প। তিনি আরো বলেন, প্রাপ্ত ভর্তুকি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে বা শেয়ার বাইব্যাক করায় ব্যয় করা যাবে না।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রন, ইন্টেল, লকহিড মার্টিন, এইচপি ও এএমডির শীর্ষ নির্বাহীরা। চিপস অ্যাক্ট পাসের ফলে বড় অংকের বিনিয়োগের ঘোষণা দিচ্ছে মার্কিন চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো। ২০২৮ নাগাদ ৭৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে কোয়ালকম। এদিকে মেমরি চিপ নির্মাতা কোম্পানি মাইক্রন বলছে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে চার হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে তারা। এছাড়া নিউইয়র্কে একটি চিপ কারখানা স্থাপনে যৌথভাবে ৪২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে কোয়ালকম ও গ্লোবালফাউন্ড্রিজ। দ্য সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বলছে, নতুন আইন পাসের ফলে হাজারো কর্মসংস্থান হবে এবং প্রসেসরনির্ভর শিল্প ও সামরিক গ্রাহকদের জন্য সরবরাহ চেইন সবল হবে।
বাইডেন প্রশাসনের চিপস অ্যাক্ট পাসের ফলে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলো আশায় বুক বাঁধলেও অনেক বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা ততটা আশাবাদী নন।
নতুন ফ্যাব নির্মাণে কয়েক বছর লেগে যায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাণ সক্ষমতা রাতারাতি পাল্টে যাবে না। অনেক ফ্যাব তৈরি হলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে চিপের দাম কমবে। কিন্তু অত্যাধুনিক চিপ তৈরিতে যে প্রযুক্তি ও অর্থ ব্যয় দরকার সে ক্ষেত্রে এশীয় কোম্পানিগুলোর থেকে পিছিয়ে রয়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো।


আরো সংবাদ



premium cement